Bongobondhu Cultural & Research Society

President’s Message


b
 

একটি আদর্শ একটি চেতনার নাম আমাদের বঙ্গবন্ধুর নাম।১৯২০ থেকে ১৯৭৫ মাত্র ৫৫ বছরে এই মানুষটি একটি দেশের ভাষা একটি জাতি এবং সংবিধান থেকে শুরু করে পুরো জাতির কাঠামো প্রস্তুত করে দিয়ে গেছেন আমাদেরকে। সর্বোপরি বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন।

১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন মুসলীম লীগ ভেঙে যে আওয়ামী লীগ যন্মগ্রহন করেছিল দল হিসেবে সেই আওয়ামী লীগের বাঙালী জাতি সম্পর্কে তার কৃষ্টি আচার আচরন সর্বোপরি একটি বর্নসংকর জাতির নেতৃত্ব দেবার এবং সঠিক পথে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালী জাতিয়তাবাদের আদর্শকে সবার অগ্রভাগে নিয়ে এসে একটি ধর্মনিরপক্ষ রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরী করার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার সৎ উদার আদর্শীক এবং নৈতিকতার রাজনিতির যে ভিত্তি বাঙালী জাতিকে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন তা এই বর্তমান বিশ্বে একটি বিরল দৃষ্টান্ত।

১৯৪৭ এ দেশ বিভক্ত হবার পর পাকিস্তান নামের যে রাষ্ট্রর যন্ম হয় তার পুরো দর্শনটাই ছিল সাম্রাজ্যবাদি শোষন বন্চনার রাজনিতির হিসেব নিকেশ থেকে। এটি কোনপ্রকার আদর্শীক কিংম্বা জাতিগত বা গোত্র ভিত্তির লেস কাল থেকে গড়ে ওঠেনি। আর সেকারণেই বাঙালীকে পার করতে হয় ২৩ বছরের এক রক্তক্ষয়ী অধ্যায়। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলার মানুষের বন্ধু এই উপাধি তিনি অর্জন করেছিলেন এই ২৩ বছরের পাকিস্তানী অনুশাসনের অন্যায় বন্চনার আর অত্যাচারের মধ্যদিয়ে বন্ধুর মত সকলের পাশে থেকে বাঙালী জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে শেখ মুজিব হয়েছিলেন বাঙালীর বন্ধু।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি ভাষন আমরা যদি গভীরভাবে গবেষনা করি তবে একটি সত্য প্রতিষ্ঠিত হয় যা বঙ্গবন্ধু নিজের ভাষন থেকেই উদ্ধৃতি দেয়া যেতে পারে; “ পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত শোষক আর শোষিত আমি শোষিতের পক্ষে”।

বঙ্গবন্ধু দেশের দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন, কার্ল মার্কস, এংগেল্স, লেনিন বা মাওবাদী দর্শনে নয়। সেটাছিল বাঙালীর নিজের দর্শন, ভুখা নাঙা অনাহার অর্ধাহার নির্জাতিত, সামন্তবাদী প্রভু সমাজের দাসত্বের যাঁতাকলে পিষ্ট ক্লিষ্ট বাঙালীকে স্বাধীনতা আর মুক্তির পথ দেখিয়ে জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ শীকার করে গেছেন। ১৯৭৫ সালে একটি ভাষনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন; “যে লোকটাকে দেখবা, দেখবা তার চেহারটা তোমার বাবার মতন, তাকে সম্মান কইরে কথা বলবা এ ব্যাটা কোত্থেকে আসচিস, এদিকে আয়.... এদেরকে সম্মান করে কথা বলবা, এটা বৃটিশ কলোনী নয় এটা পাকিস্তানী উপনিবেশ নয়, এটা স্বাধীন বাংলাদেশ। ওরা খাইটে খায় পরিশ্রম কইরে উপার্জন করে; ওরাই মানুষ ওরাই সম্মান বেশী পাবে....” এটাই বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব চিন্তায় বাঙালীর সমাজ পরিবর্তনের সাম্যতা আর সমাজতন্ত্রের গভীর দর্শন। একজন সত্যিকারের মানুষের দর্শনই মানুষকে ভালোবাসার দর্শন। আর সেটি আমাদের বঙ্গবন্ধু আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতিকে উপহার দিতে চেয়েছিলেন তার নিজস্ব মেধায় আর যা কিছু নিরন্তর যা শুধুই বাঙালীর আর তা নিয়ে গভীরভাবে ভেবে গেছেন দিয়ে গেছেন আমাদের এই শ্রেষ্ট বাঙালী আমাদের বাঙালী জাতির মুজিব ভাই।